Site icon Anirban Saha

কলকাতায় ক্রিসমাস মানেই কিন্তু পার্ক স্ট্রীট নয় – লুকিয়ে আছে অনেক কিছু!

কলকাতার ক্রিসমাস

পার্ক স্ট্রীট – সেকাল – একাল

সাবেক কলকাতার সাহেব পাড়া ছিল পার্ক স্ট্রীট । সে সময় ছোট বড় রায়বাহাদুর , বাবুরা নিমন্ত্রিত হতেন লালমুখো সাহেবদের বাড়ীতে । সাধারন লোকেরা দূর থেকে বিলাসিতার বহর দেখতেন আর কেক এর সুবাস নিতেন। ঘরে ঘরে চলত বলনাচ, মদ্যপানের আসর, পিয়ানো বাজিয়ে চলত রাতভর ফিরিঙ্গী সাহেব মেম দের নাচগান। এখন সে রাম ও নেই- নেই সেই অযোধ্যাও । আগেকার সেই সাহেবপাড়ার সাবেক ঠাটবাট আর না থাকলেও ক্রিসমাসের ২ দিন আগে থেকেই আলোর মালায় সেজে ওঠে পার্ক স্ট্রীট । ২৪ শের সন্ধ্যে থেকে শুরু হয় ভিড়, যা দেখে দুর্গা পুজোর অষ্টমীর সন্ধ্যের কথা মনে পরাতে বাধ্য।রাস্তার দুপাশ জুড়ে বিভিন্ন নামী দামি রেস্তরাঁ তে লম্বা লাইন – অসীম ধৈর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। রাস্তায় ইতিউতি হাত ধরাধরি করে যুগল , অথবা সপরিবারে হুজুগে বাঙালি কিম্বা মফঃস্বল থেকে কলকাতা ঘুরতে আসা অবাক চোখের মানুষজন – সবার দেখা মিলবেই। অ্যালেন পার্কে চলে রাত ভর গানের আসর আর তারসাথে ক্রিসমাস নিয়ে বাঙালীর উন্মাদনা – সব মিলিয়ে রাত বাড়ার সাথে সাথে পার্ক স্ট্রীট মোহময়ী রূপ নেয় ।

এখন কলকাতার লোক ক্রিসমাস বলতে ভিড়ে ঠাসা পার্ক স্ট্রীট এর রাস্তা ধরে মাথায় সান্তা টুপি পরে সেলফি তুলতে জানে। সেন্ট পলস এর ভিড় , নন্দন চত্বর , মোহর কুঞ্জে উপছে পড়া ভিড় দেখলে এখন কান্না পায় । কিন্তু কয়জন জানে এই চেনা কলকাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে আরও একটা আস্ত অচেনা কলকাতা ? কয়জন দেখেছেন আজকের ধর্মের নামে মারামারির যুগে অন্য ধর্মের সাধু সন্ন্যাসী দের ক্রিসমাস উদযাপন করতে ? কিম্বা কয়জনই বা ” যীশু পুজা” -র সম্পর্কে শুনেছেন ?
mmmmm

Kolkata Christmas Carnival 2015 | www.anirbansaha.com

সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল চার্চ-

কলকাতার সব থেকে পুরনো আর আইকনিক স্থাপত্য গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে এই চার্চ । ব্রিটিশ শাসনের সময় সবার প্রথমেই এই চার্চ বানানো শুরু হয়েছিল ১৮৩৯ সালে। দীর্ঘ আট বছরে সম্পূর্ণ হয় এই চার্চ। কিন্তু ১৮৯৭ ও ১৯৩৪ এর ভুমিকম্পে এই চার্চের বড় ক্ষতি হয় ও আবার নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। বর্তমানে কলকাতার সবচেয়ে বড় চার্চের তকমা পেয়েছে এই সেন্ট পলস । প্রতি বছর ২৪ শে ডিসেম্বর ক্রিসমাস ইভের সন্ধ্যে তে আলোর মালায় সেজে ওঠে পুরো চত্বর। আমি নিজে খাস কলকাতার ছেলে হয়ে গতবার ই প্রথম গেছিলাম সেন্ট পলস চার্চে । ভিড় ঠেলে প্রেয়ার হলে ঢুকতেই নিমেষে সব চুপ। সোনার জলে রঙ করা কাঠের বেদীর উপর যীশুর ক্রুশ বিদ্ধ মূর্তি- ফুল, মোমের উজ্জ্বল আলোয় এক অদ্ভুত প্রশান্তি। বাইরে বেরিয়ে আসার পরেও বেশ কিছুক্ষন সেই ভালোলাগার রেশ থেকে যায়।

 

বো – ব্যারাকসে ক্রিসমাস | www.anirbansaha.com

বো – ব্যারাকস –

এছাড়াও কলকাতার আরও নানা ছোট বড় চার্চে সেদিন মানুষের ঢল নামে – ডাফ চার্চ , জোড়া গির্জা , সেন্ট জোসেফস চার্চ…। কলকাতার অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সমাজের মানুষজন ও মেতে ওঠেন তাদের  প্রভু যীশুর জন্মদিনে । বো-ব্যারাক এলাকার পুরনো রঙচটা বাড়ী , অলিগলি সেজে ওঠে আলোর মালায় । আর সেই গলি দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানে পঞ্চেন্দ্রিয়ের পূর্ণ সদ- ব্যবহার। প্রথমত দু চোখ ভরে দেখা আলোর রোশনাই , দ্বিতীয়ত হাঁটতে হাঁটতে কানে ভেসে আসবে বাড়ী থেকে পিয়ানো অথবা কোরাস গানের বিলিতি সুর , তৃতীয়ত – গরম কেক , কুকিস এর সুবাস আপনার নাকে ঢুকে আপনার রসনা সিক্ত করবেই , চতুর্থত – আপনি অযাচিত ভাবে সেই স্বর্গীয় খাদ্যের আস্বাদন লাভ করতে পারেন , আর পঞ্চমত – ডিসেম্বরের কলকাতার ঠাণ্ডা আর মানুষের ভালোবাসার উষ্ণতা, সব মিলিয়ে কলকাতা আপনার কাছে মোহময়ী উঠবেই। এসব তো গেল খাস কলকাতার সাহেবি ব্যাপার , কিন্তু, ঐ যে বলেছিলাম – এই কলকাতার মধ্যে লুকিয়ে আছে আরও এক অচেনা কলকাতা – আমরা সবাই বেলুড় মঠের নাম শুনেছি , গেছিও অনেকে – কিন্তু কতজন জানেন এই হিন্দু সন্ন্যাসী সঙ্ঘে এক ভাব গম্ভীর পরিবেশে ক্রিসমাস পালিত হয়? হ্যাঁ , ২৪সে ডিসেম্বর , ক্রিসমাস ইভের সন্ধ্যে শ্রী রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে ।

 

বেলুড় মঠে ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনা | www.anirbansaha.com

বেলুড় মঠে ক্রিসমাস ইভের প্রার্থনা – 

গতবছর আমার আর অনির্বাণ দার যাওয়ার কথা ছিল বেলুড় মঠে ক্রিসমাস ইভ দেখতে। আমরা চেয়েছিলাম পুরো অনুষ্ঠানটার কিছু ছবি তুলতে , চিন্তা হচ্ছিল – কারন বেলুড় মঠে মূল মন্দিরের ভিতরে কোনোরকম ছবি তুলতে দেওয়া হয়না । মন্দির চত্বরে ঢুকেই অনির্বাণ দা দৌড়ল মঠ অফিসে – কারন একটাই – ছবি তোলার অনুমতি চাওয়া । পরে অনির্বাণ দা বলেছিল – ” মঠে ঢোকা মাত্রই ছুটলাম মঠ অফিসের দিকে, কোনও ঠিক নেই কার থেকে অনুমতি নেব ছবি তোলার। হঠাৎ করে এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন – ” আরে ! আপনাকে তো আমি চিনি, আপনি এখানে কি করছেন?…আপনিই তো সেই দুর্গা পুজো তে এসেছিলেন না? তা, এবারেও কি ছবি তুলবেন আজকের অনুষ্ঠানের?”।
আমি কয়েক মুহূর্ত কিছু বলতে পারিনি। ভদ্রলোক বলে চলেছেন- ” সোজা গিয়ে বাঁদিকে যান, শেষের আগের ঘরটা। আমি লোককে বলে পাঠাচ্ছি।”

কিছু কিছু মুহূর্ত আসে আমাদের জীবনে যেগুলো পরে মনে হয় এটাও কি সম্ভব!! আমি নিজেকে তখনও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না, ভদ্রলোক আমার হাতে প্রেস কার্ড টা দিয়ে দেওয়ার পরেও বেশ কিছুক্ষন একটা ঘোরের মধ্যে ছিলাম।
পরে ভেবেছিলাম ভগবান কখন কার মধ্যে দিয়ে এসে সাহায্য করেন তা আমাদের মত সাধারন মানুষের ধারণার অতীত।

 

সন্ধ্যে হয়েছে, ঠাকুরের মন্দিরে আরতি সবে শেষ হল, বিরাট হল ভর্তি ভক্তরা বসে আছেন। আমার সামনে শ্রী শ্রী ঠাকুরের মূর্তি আর বাঁ দিকে মা মেরি আর যীশুর ছবি সিংহাসনে বসিয়ে ফুল মালা দিয়ে অপূর্ব ভাবে সাজানো।
দুপাশে মোমদানি, এক উষ্ণ অথচ মৃদু আলোয় ভরে আছে চারপাশ। পশ্চিমে বয়ে চলেছে গঙ্গা, নিস্তব্ধ নাটমন্দিরে একে একে সাধু সন্ন্যাসীরা এসে বসতে শুরু করলেন।
দুজন মহারাজ নিয়ে এলেন ভোগ, যা আজ যীশু আর মা মেরী কে নিবেদন করা হবে। তিল ধারণের স্থান নেই আর গোটা নাটমন্দিরে। আমি এক থামের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। মোমের নরম আলো, ধূপের হালকা মিষ্টি গন্ধে ভরে যাচ্ছে চারিদিক, মোমের শিখা কাঁপছে, পুরনো বিশাল কারুকার্য করা থামের ছায়া, আগেরকার দিনের পিতলের কাজ করা ঝাড়বাতি…
সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত পরিবেশ।
পূজারী মহারাজ এলেন। সমবেত সাধু সন্ন্যাসী রা শুরু করলেন ক্রিসমাস ক্যারল। ছোটবেলায় যা আমি স্কুলে শুনেছিলাম, আজ এতদিন পর আবার সেই চেনা সুর , সেই চেনা অনুভূতি।
মহারাজেরা যীশুর জীবনী থেকে কিছু অংশ পাঠ করলেন, আর তাঁর সাথে ঠাকুরের জীবনের কিছু ঘটনা যা হুবহু মিলে যায়।

” আমি করেছি নিজের জীবনে”- ঠাকুর বলেছেন – ” দীর্ঘ চোদ্দ বছর আমি হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্ট, বৌদ্ধ সব ভাবের সাধনা করেছি। আমি জেনেছি সব ধর্মের মূল সেই ঈশ্বর লাভ।”
ঠাকুর অনেকসময় এক মজার গল্প বলতেন – ” এক বড়লোকের বাড়িতে একটা ঘরে সিন্দুকে অনেক হিরে জহরত রাখা । সে বাড়ির অনেক দরজা, সে তুমি সদর দিয়ে যাও কি খিড়কীর দরজা দিয়ে, হিরে তুমি পাবেই।”( শ্রী রামকৃষ্ণ কথামৃত- শ্রী ম )

ঠাকুরের তখন ৩৮ বছর বয়েস, ঠাকুরের একবার খ্রিস্ট ধর্ম সম্পর্কে জানার প্রবল ইচ্ছে জাগে। একবার তিনি যদু মল্লিকের বাগানবাড়ি তে যীশুর এক ছবি দেখেন আর অনুভব করেন এক দিব্য জ্যোতি তাঁর দেহে প্রবেশ করছে।
এই ঘটনার পর থেকে তাঁর আচার আচরণ সব বদলে যায়। এমনকি তিনি দক্ষিণেশ্বরে মায়ের মন্দিরে মা কে প্রনাম করতেও যেতেন না। এই ভাব তিন দিন ছিল।

ঈশা মশি কে আলিঙ্গন

তিনদিন এভাবে চলার পর একদিন তিনি পঞ্চবটী তে পায়চারি করছেন আপন মনে , হঠাৎ দেখলেন এক অপূর্ব দেব মানব- গৌরবর্ণ তাঁর চোখে চোখ রেখে তাঁরি দিকে এগিয়ে আসছেন।
বাহ্য জ্ঞান হারানোর আগের মুহূর্তে তাঁর ভিতর থেকে কে যেন বলে উঠল –” ঈশা মসি ! পরম পুত্র ঈশা মহাযোগী, যিনি তাঁর জগতের মানুষের কল্যানের জন্য নিজের প্রান দিয়েছিলেন- সেই ঈশা মসি ! “ এরপর সেই অদ্ভুত দেবমানব তাকে আলিঙ্গন করে তাঁরই দেহে মিলিয়ে যান।এই ঘটনার অনেক বছর পর ভক্তদের সাথে কথার সময় ঠাকুরের দিব্য দর্শন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে ঠাকুর বলেন
” তোমরা সব ইয়ং বেঙ্গল, বাইবেল পড়েছ, তা বল দেখি ঋষি কৃষ্ণ ( ঠাকুর যীশু তে এই নামে ডাকতেন) কেমন দেখতে ছিলেন?”
তখন ভক্তরা বললেন – ” যীশু কেমন দেখতে ছিলেন তাঁর উল্লেখ বাইবেল এ পাওয়া যায়না, তবে তিনি ইহুদী ছিলেন। তাঁর গাত্র বর্ণ গৌর ছিল এবং চোখ নাক টিকলো টানা টানা ছিল নিশ্চয়”। একথা শোনা মাত্র ঠাকুর বলেছিলেন – “ আমি কিন্তু বাপু দেখলুম তাঁর নাকের অগ্রভাগ ঈষৎ চ্যাপ্টা”
ঠাকুরের মহাসমাধির অনেক পরে তিনটি বিশ্বস্ত সুত্রে যীশু কে কেমন দেখতে ছিল তা জানা যায়,
তাঁর মধ্যে একটি ছিল ঠাকুরের দেখা সেই ঈষৎ চ্যাপ্টা নাক।

ক্রিসমাস ক্যারল ও যীশুর জীবনী পাঠ

ক্রিসমাস ইভ ও বেলুড় মঠ – যোগসূত্র —

ঠাকুরের নয়জন পার্ষদ সন্তান হুগলী জেলার আঁটপুর গ্রামে বাবুরাম ঘোষের বাড়ি মিলিত হন। এই বাবুরাম ঘোষ পরে স্বামী প্রেমানন্দ নামে বিখ্যাত হন। বাবুরামের মা মাতঙ্গিনী দেবী সবাইকে নিজের ছেলের মত আপন করে নিলেন। ঠাকুরের ভালবাসা , উপদেশ, আদর্শ, জীবন ও তাঁর অর্পিত দায় তাদের সর্বক্ষণের আলোচনার বিষয় হল। এরই মধ্যে ২৪সে ডিসেম্বর( ১০ই পৌষ, শুক্রবার) এক অচিন্ত্যনীয় ঘটনার ফলে আঁটপুর শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্ঘের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে রইল। সেদিন সন্ধ্যের অনেক পরে বাইরে ধুনি জ্বেলে নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে ত্যাগী সন্তানবৃন্দ ধ্যানে ডুবে গেলেন।ধ্যান শেষে নরেন্দ্রনাথ ক্রমে যীশু খ্রিষ্টের ত্যাগ- তপস্যা পূত জীবনকথা প্রান স্পর্শী ভাষায় আদ্যোপান্ত অনর্গল বলে যেতে লাগলেন। তারপর সেন্ট পল থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন ত্যাগী সন্তানদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মবিসর্জনের ফলে কি ভাবে খ্রিস্টধর্ম ও সম্প্রদায় প্রচারিত ও প্রসারিত হল তাঁর ইতিহাস বর্ণনা করে তিনি তাঁর গুরুভাইদের এক ত্যাগ ঐশ্বর্য মণ্ডিত প্রেরনাময় নতুন রাজ্যে নিয়ে গেলেন আর সকলের কাছে আবেদন জানালেন, তারাও যেন যীশুর ও তাঁর সন্তানদের মত পবিত্র জীবন তৈরি করে তা জগত-কল্যানে উৎসর্গ করেন। সেই প্রাণবন্ত কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে গুরুভাইরা উঠে দাঁড়ালেন, আর সম্মুখে প্রজ্বলিত ধুনির অগ্নিশিখা কে সাক্ষী রেখে অটুট সঙ্কল্প জানালেন। পরে তাদের মন সাধারন ভুমি তে নেমে আসার পর তারা এই ভেবে অবাক হলেন যে সন্ধ্যাটি ছিল যীশুর আবির্ভাবের প্রাকক্ষন। পরবর্তী কালে সঙ্ঘ গঠনে আঁটপুরের অবদানের কথা স্মরণ করে স্বামী শিবানন্দ বলেছিলেন – “আঁটপুরেই আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার সঙ্কল্প দৃঢ় হল। ঠাকুর তো আমাদের সন্ন্যাসী করে দিয়েছিলেনই- ঐ ভাব আরও পাকা হল আঁটপুরে”।

কখন আরতি শেষ হয়েছে বুঝতে পারিনি , এক অদ্ভুত নিস্তব্ধ পরিবেশ। শান্ত – সমাহিত , ঠিক যীশুর মতই।আমি নিজেকে এখন খুব ভাগ্যবান বলে মনে করি সেদিন সেই অপূর্ব এক সন্ধ্যার সাক্ষী থাকতে পেরে। আমাদের বাংলার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে আত্মীয়তার ওম।  সব ধর্মের রাস্তা বিভিন্ন রাস্তা থাকতে পারে , কিন্তু গন্তব্য সেই একই। বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের তথাকথিত অশিক্ষিত , পুঁথিগত বিদ্যাহীন ব্রাহ্মণ মিলিয়ে দিয়ে গেলেন এক কপর্দকহীন ইহুদী দেবমানবের সাথে। ধন্য এ মানব জীবন।

Exit mobile version